আওয়ার ইসলাম: ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ আশরাফ আলী আকন বলেন, শ্রেণি বৈষম্য দূর না হলে মালিক-শ্রমিকের সুসম্পর্ক কখনো গড়ে উঠবে না। আর মালিক-শ্রমিকের সুসম্পর্ক ছাড়া কাম্যমানের উৎপাদন সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন মালিক-শ্রমিক সংঘর্ষ নয়, বরং সুসম্পর্ক স্থাপনের সেতুবন্ধনের সলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই উৎপাদনের সকল ক্ষেত্রে একটি মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।কাজ করে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন ও উৎপাদনের স্বার্থে মালিক-শ্রমিকের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। তিনি ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন বোনাস প্রদানের জন্য মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আজ সকাল ৯টা থেকে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ একটি মিলনায়তনে থানা ও ওয়ার্ড দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ শিব্বির আহমদের সভাপতিত্বে এবং হাফেজ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুফতী মোস্তফা কামাল. মাওলানা সৈয়দ নাছির উদ্দিন আহমদ কাওছার, মুফতি মানসুর আহমদ সাকী।
মুহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, মিল-কারখানায় কাম্যমানের উৎপাদনের জন্য মালিক- শ্রমিকের সুসম্পর্কের বিকল্প নাই। শ্রমিকগণ হলেন দেশের চালিকা শক্তি। অথচ রাষ্ট্রের সেই চালিকা শক্তি শ্রমজীবী মানুষ আজ নির্যাতিত-নিপীড়িত শোষিত-বঞ্চিত ও পদদলিত। শ্রমজীবী মানুষরা আজ জুলুমের শিকার। কৃষক-শ্রমিক ও মেহনতি মানুষকে কলুর বলদ হিসেবে ব্যবহার করে একটি মহল টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে।
সভাপতির বক্তব্যে শিব্বির আহমদ বলেন, শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন এর আলোকে প্রণীত পাঠ্যসূচি বহাল থাকলে আমাদের সন্তানরা হিন্দুত্ববাদে ধাবিত হবে। কাজেই ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তা-চেতনাবিরোধী এই সিলেবাস বাতিল করে নতুন সিলেবাস প্রণয়ণ করতে হবে।
আরআর