সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


প্রাণভিক্ষা: সিদ্ধান্ত জানাতে সময় চান মীর কাসেম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার


আওয়ার ইসলাম
: যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে তার রিভিউ আবেদন খারিজের রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। এখন কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না- সেই সিদ্ধান্ত জানাতে মীর কাসেম সময় চেয়েছেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, রিভিউ খারিজের রায় ও আদালতের আদেশ ট্রাইব্যুনাল হয়ে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে কাশিমপুরে পৌঁছায়। এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় সেই রায় ও আদেশ ফাঁসির আসামি মীর কাসেম আলীকে পড়ে শোনান। “আদালতের রায় তিনি জেনেছেন। এখন মার্সি পিটিশন করা না করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে তিনি সময় চেয়েছেন।”

আদালতের সব বিচারিক প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেমের সামনে এখন কেবল ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগই বাকি। তিনি সেই সুযোগ নিতে চাইলে তার দরখাস্ত রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের পরই দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

কাসেম আবেদন না করলে, অথবা আবেদন করেও রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা না পেলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ দণ্ড কার্যকর করবে। তবে তার আগে স্বজনেরা কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন।

আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ গত ৮ মার্চ মীর কাসেমের আপিলের রায় ঘোষণা করে। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া প্রাণদণ্ডের সাজাই তাতে বহাল থাকে।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনার করার আবেদন করেছিলেন জামায়াতের মজলিশে শুরার সদস্য মীর কাসেম। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার সকালে সেই আবেদনও খারিজ করে দেয়।

সকালে রায়ের পর বিকালেই পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়। তারপর বিচারিক আদালত ট্রাইব্যুনাল হয়ে রাতেই রায় পৌঁছে যায় কাশিমপুর কারাগারে, যেখানে কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন ৬৩ বছর বয়সী যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম।

এজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ