আওয়ার ইসলাম : বিবিসির জনপ্রিয় খাবার বিষয়ক অনুষ্ঠান দ্য গ্রেট বৃটিশ বেইক অফ-এর ২০১৫ মৌসুমের বিজয়ী নাদিয়া হুসেনকে নিয়ে চলছে দুই পর্বের সিরিজ। বিবিসির এই সিরিজের নাম দ্য ক্রনিকলস অব নাদিয়া। ওই অনুষ্ঠানে হিজাব নিয়ে মন্তব্য করে দৃষ্টি কেঁড়েছেন নাদিয়া। কেন তিনি হিজাব পরেন, এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন ১৪ বছর তখন থেকে হিজাব পরে আসছি। অর্থাৎ ১৭ বছর ধরে। এমন নয় যে আমি ধর্মীয় পরিবার থেকে এসেছি। বরং, আমি আসলে এসেছি একেবারেই বিপরীত একটি পরিবার থেকে। হিজাব আসলে এমন কিছু যাতে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। এটি হলো মুসলিম হওয়া ও ইসলাম চর্চার একটি লক্ষণ। শালীনতার লক্ষণ। চুল এমন জিনিস যাকে সুন্দর জিনিস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আপনি এ সুন্দর জিনিস শুধু নির্দিষ্ট মানুষের জন্যই যত্ন করে রেখে দেবেন।’
হিজাবকে ঘিরে যখন আতঙ্ক, অজ্ঞতা আর ইসলামভীতি ছড়িয়ে পড়েছে সেই মুহূর্তে পোশাক নিয়ে নাদিয়ার সরলতা এবং ইতিবাচক মন্তব্যের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। বৃটিশ স্ট্যান্ডঅফ কমেডিয়ান ডেভিড মরগ্যান লিখেছেন, ‘দ্য ক্রনিকলস অব নাদিয়া’য় ২০ সেকেন্ড নাদিয়া তার হিজাব নিয়ে কথা বলেছেন। এটুকুই বিষয়টি কারও বোঝার জন্য যথেষ্ট।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘এটি ছিল অসাধারণ। নাদিয়া দারুণ!’ খোঁচা মেরে এ কমেডিয়ান এ-ও লিখেছেন, ‘এই সিরিজ ফরাসি টেলিভিশনে দেখানোর কোন সুযোগ আছে?
কেভিন ব্রাডি নামে একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘যে দিনটিতে আমরা দেখলাম ফরাসি পুলিশ নারীদের হয়রানি করছে, সেই দিনে হিজাব নিয়ে নাদিয়ার কথা বলা খুবই গুরত্বপূর্ণ মনে হলো। খুবই স্পষ্ট এবং অল্প কথায় সব বলা হয়ে গেছে।’ অ্যানা মুরে নামে একজন লিখেছেন, ‘আজকে ওই খবরগুলোর পর হিজাব নিয়ে নাদিয়ার মন্তব্য খুবই তীক্ষ্ম ও মর্মভেদী মনে হয়েছে। ক্রনিকলস অব নাদিয়া অবশ্যই দেখা উচিৎ।’ সারা ব্রাশ নামে একজন লিখেছেন, ‘ক্রনিকলস অব নাদিয়া ভালোবাসতে শুরু করেছি। ফ্রান্সের খবর শোনার পর, যখন একজন মুসলিম তরুণী নারী কথা বলেন কেন তিনি হিজাব বেছে নিয়েছেন, তখন ভালো লাগে।’ ফ্রাঙ্কি সেস রিল্যাক্স নামে একজন বলেন, ‘যদি কেউ ভেবে থাকেন হিজাব পরিধানের অর্থ নারীদের নির্যাতন, তাহলে এখনই ক্রনিকলস অব নাদিয়া দেখুন এবং শুনুন নাদিয়া ও তার কাজিন এ নিয়ে কী বলছেন।’
এফএফ