আওয়ার ইসলাম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, রাজধানীর গুলশান, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলায় অর্থ জোগানদাতা ও পরিকল্পনাকারী তামিম আহমেদ চৌধুরী আজকের অভিযানে নিহত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তামিম চৌধুরীর অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল।
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়ায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আজ সকালে পাইকপাড়ায় দেওয়ানবাড়িতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াতের অভিযানে তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়। এর পর ঘটনাস্থলে যান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ বাহিনী, ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ ও গোয়েন্দাদের কাছে অনেক দিন আগে থেকেই তথ্য ছিল। তারা অনেক পরিকল্পনা করে আজকের এই সফল অভিযান চালাতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, এই অভিযানে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, অভিযানে নিহত দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত পয়লা জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলার পর রাতেই তারা ২০ জনকে হত্যা করে।
ওই দিন রাতে উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরের দিন সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। ওই হামলায় মোট ২৯ জন নিহত হয়।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরী ও সেনাবাহিনীর বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হককে এ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং অর্থ ও অস্ত্রের জোগানদাতা বলে দাবি করেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক। তিনি জানান, তামিম ও জিয়াকে গ্রেপ্তারে সহায়তা করলে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।
গত ২ আগস্ট রাজধানীর পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এ ঘোষণা দেন।
আরআর