আমিন ইকবাল: ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গত ১৫ আগস্টের বক্তব্য তার জীবনে বড় রাজনৈতিক ভুল উল্লেখ করে পাকিস্তানের জিও টিভির নির্বাহী সম্পাদক হামিদ মীর বলেন, মোদির ওই বক্তব্যে মূলত পাকিস্তানকে এই বার্তা দেয়া হয়েছে যে, ‘পাকিস্তান যদি কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের প্রতি সমর্থন বন্ধ না করে, তাহলে ভারত বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নবাদী সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করবে।’ উর্দু দৈনিকে প্রকাশিত একটি কলামে এ কথা বলেন হামিদ মীর। ‘নিপীড়িত কাশ্মীরিরা পাকিস্তানের প্রতি উদার’ শিরোনামে সোমবার হামিদ মীরের কলামটি প্রকাশ করে উর্দূ দৈনিক ‘জং’।
হামিদ মীর বলেন, মোদির এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের জনগণ আগামী নভেম্বরে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে মোদিকে পাকিস্তানে এসে আর কোনো বক্তব্য দেয়ার অনুমতি দিবে কি? তিনি বলেন, মোদি কি কারও দ্বারা বাধ্য হয়ে পনের আগস্টের বক্তব্য দিয়েছেন? পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের কোনো বক্তব্যের প্রতিবাদ হিসাবে কি তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন? না। তাহলে এই বক্তব্যের দ্বারা মোদি কী বুঝাতে চাইছেন?
তিনি বলেন, মোদির এই বক্তব্যের পর বালুচের কিছু বিচ্ছিন্নবাদী নেতা কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের সন্ত্রাস বলে দাবি করছে। এতে করে নিপীড়িত কাশ্মীরিরা ধর্মঘট দীর্ঘ করতে বাধ্য হচ্ছে।
এর আগে গত ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক ভাষণে মোদি বলেছিলেন, ‘বেলুচিস্তান, আজাদ কাশ্মীর এবং গিলগিটের বাসিন্দাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। তাদের ওপর অমানবিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমি কথা বলায় সেখানকার লোকজন আমার প্রসংশা করেছে, আমার প্রতি কৃজ্ঞতা জানিয়েছে।’
এই বক্তব্যের পতিক্রিয়া অন্য একটি কলামে হামিদ মীর বলেছিলেন, বেলুচিস্তান, আজাদ কাশ্মীর এবং গিলগিট বালতিস্তানে আগামীতে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকা- ঘটলে- এর পেছনে ভারতের হাত আছে বলে মনে করবে বিশ্ববাসী। এর জন্য মোদির ১৫ আগস্টের ভাষণটিই যথেষ্ট। এরচে’ বড় কোনো প্রমাণের দরকার নেই।
এইচএ