আওয়ার ইসলাম: জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নেতারা বলেছেন, পর্যাপ্ত ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবের কারণেই মানুষ সন্ত্রাসের পথ বেছে নিচ্ছে। এ জন্য ধর্মীয় শিক্ষার পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন পরিষদের নের্তৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত ‘সন্ত্রাস- উগ্রবাদ ও ইসলাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সরকারের কাছে এ প্রাস্তাব পেশ করেন সংগঠনের নেতারা।
আলোচনা সভায় ওমরগণি এম.ইএস কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসাইন বলেন, বর্তমানে প্রচলিত জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ ইসলামের জিহাদের সম্পূর্ণ বিপরীত। রাসুল সা.এর নেতৃত্বে ২৬টি জিহাদে কোন নিরীহ মানুষ, নারী ও শিশু হত্যার শিকার হয়নি এবং তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। এটাই হচ্ছে প্রকৃৃত জিহাদ।
তিনি বলেন, রাসূল সা. অন্যকোন ধর্মের ধর্মযাজককেও হত্যার নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, আল্লাহু আকবার বলে হত্যা করলেই সে মুসলমান হয় না। যেমন খারেজীরা হযরত আলী রা.কে আল্লাহর জিকির করতে করতে হত্যা করেছিল, এদের কেউ মুসলমান ছিল না।
সংগঠনের আহ্বায়ক মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ এর সভাপতিত্বে এবং নগর সদস্য সচিব মুফতি মুহিব্বুল্লাহ এর সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী, মেজর [অব:] আখতারুজ্জামান, প্রফেসর ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকি আন নদভী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কবি মুহিব খান, মুফতি অহিদুল আলম, মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমি, মাওলানা আনসার আহমদ (পীর সাহেব কুমিল্লা), মাওলানা মাহমুদুর রহমান, মাওলানা ইউনুস ঢালী, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, মুফতি রফিকুন্নবী হক্কানী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় অলোচকবৃন্দ বলেন, কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা সন্ত্রাস, উগ্রবাদের অজুহাতে “জিহাদ” নামক এক মহান ইবাদতকে কলুষিত করে বক্তব্য দিচ্ছে। সন্ত্রাসীরা কখনো মুজাহিদ হতে পারে না। জিহাদী বইয়ের নামে মূলত: আজ কুরআন বাতিলের চক্রান্ত চলছে। সরকারকে অনুরোধ করে বলবো জিহাদী বইয়ের তালিকা প্রনয়ন করে জাতির সামনে প্রকাশ করুন।
আরআর