আওয়ার ইসলাম ডেস্ক : নিহত আইনজীবীর লাশ দেখতে এসে লাশ হয়ে গেলো কমপক্ষে ৭০টি প্রাণ। ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপলো পাকিস্তানের কোয়েটা শহরের সিভিল হাসপাতাল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে এসেছে গতকালের ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার বিভীষিকা।
বোমাটি যখন বিস্ফোরিত হয় তখন এএফপির একজন সাংবাদিক ঘটনাস্থল থেকে ২০ মিটার দূরে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘কালো ধোঁয়া আর ধুলোয় আচ্ছন্ন হয়ে যায় পুরো এলাকা। দৌড়ে গিয়ে আমি দেখি মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সবখানে। আহত অনেকে কাঁদছেন। চারপাশে রক্ত আর রক্ত। মানুষের শরীরের ছিন্নভিন্ন অংশ এখানে সেখানে।’ আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে হাসপাতালের ভেতর থেকে ছুটে আসেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আহতদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। যারা চিকিৎসাসেবা দিচ্ছিলেন তারা নিজেরাও কাঁদছিলেন। শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো কোয়েটা জুড়ে।
উড়ন্ত কাচের টুকরোতে আহত হওয়া পারভেজ মাসি বলছিলেন, ‘বিস্ফোরণ এতোটা শক্তিশালী ছিল যে আমরা বুঝতেই পারিনি কি ঘটে গেলো। এতগুলো বন্ধু মারা গেলো।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে মাসি বলেন, ‘যেই এটা করছে সে মানুষ নয়, পশু; তার কোনো মানবিকতা নেই।’
হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া ওয়ালিউর রেহমান বলছিলেন, অসুস্থ পিতাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো ভবন। তারা দুজনই মাটিতে পড়ে যান। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী আবদুর লতিফ বলেন, নিহত আইনজীবী বিলাল কাসি হত্যাকাণ্ডে শোক জানাতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু তিনি ভাবেননি ‘সেখানে গিয়ে আরো আইনজীবীদের মৃতদেহ দেখতে হবে।
ওএস