আওয়ার ইসলাম: আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আত্মত্যাগের অর্থও জানা নেই তাঁর। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন ইরাকে নিহত মুসলমান মার্কিন সেনা ক্যাপ্টেন হুমায়ুন খানের মা গাজালা খান।
সম্প্রতি রিপাবলিকান সম্মেলনে স্বামী খিজির খানের বক্তৃতার সময় নীরবে থাকা নিয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা এবং সেখানে ইসলাম ধর্মকে টেনে আনার জবাবে গাজালা খান এমন মন্তব্য করেন।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরে ডেমোক্রেটিক সম্মেলনের শেষ দিনে হুমায়ুন খানের বাবা খিজির খান আবেগঘন বক্তৃতা করেন। তিনি দাবি করেন, জীবনে কোনো আত্মত্যাগ করেননি ট্রাম্প। এ ছাড়া মার্কিন সংবিধান ট্রাম্প কখনো পড়ে দেখেছেন কি না, এ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন খিজির খান। বক্তৃতার সময় তাঁর স্ত্রী গাজালা খান পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন নীরবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এবিসিকে গত শনিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প খিজির খানের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, ডেমোক্রেটিক সম্মেলনে গাজালা খানকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এর সঙ্গে ইসলাম ধর্ম টেনে আনেন ট্রাম্প।
এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে খিজির খান বলেন, তিনি একজন হৃদয়হীন মানুষ। নিহত মার্কিন সেনার পরিবারের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয় এ সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই তাঁর।
ওয়াশিংটন পোস্টকে গাজালা খান বলেন, ডেমোক্রেটিক সম্মেলনে তাঁকে বক্তব্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ছেলের সম্পর্কে কোনো কথা বলা তাঁর জন্য কঠিন। শোকাহত থেকেই নীরব ছিলেন তিনি।
বিবিসি জানায়, এক ভিডিওবার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি খান দম্পতি তাঁদের শোক বোঝার আহ্বান জানান।
পাকিস্তানি খিজির ও গাজালা খানের সন্তান হুমায়ুনের জন্ম হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দুই বছর বয়সেই তাঁকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান খিজির ও গাজালা দম্পতি। হুমায়ুন খান হয়েছিলেন সামরিক আইনজীবী। তবে ৯/১১-পরবর্তী সময়ে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ২০০৪ সালে ইরাকে গাড়িবোমা হামলা নিহত হন মার্কিন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হুমায়ুন খান। ওই সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর।
এনটিভি