আব্দুল্লাহ বিন রফিক; আওয়ার ইসলাম
জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল-মুআম্মালি এক রিপোর্টে জানিয়েছেন, ইয়ামানের ইরানি মদদপ্রাপ্ত হুতি বিদ্রোহীরা সাময়িক যুদ্ধবিরতির পরও চুক্তিবিরোধী বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। আর এখন সব নিয়ম-কানুনে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সরাসরি সৌদি আরবের অভ্যন্তরে ঢুকে খোদ সৌদি নাগরিককেই হত্যা করে চলেছে।
আবদুল্লাহ আল মুআম্মলি জানান, হুথিদের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি।
আলআরাবিয়া ডট নেটের এক সূত্রমতে, সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলাকালে সকলকে উদ্দেশ্য করে আবদুল্লাহ আল মুআম্মালি বলেন, সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়ামানের অপারেশনে আরব জোটগুলো ইয়ামানের সব অঞ্চলকে শহরাঞ্চল বিবেচনা করে মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করেছে। এতোসব ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও জাতিসঙ্ঘের প্রকাশিত এক রিপোর্টে রিয়াদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘোর অপবাদ আরোপ করা হয়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বিষয়টি আরও খোলামেলা করে বলেন, সৌদি সরকার তার নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদানে এবং শিশুদের নির্বিঘ্নে প্রতিরক্ষায় বিশ্বাস করে। যুদ্ধ চলাকালে শিশু ও নিরাপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার কোনও অনুমতি নেই কারোর। যখন হুতি বিদ্রোহীরা ইয়ামানি শিশুদের রণক্ষেত্রে ঠেলে দিয়ে তাদের যুদ্ধগুটিতে পরিণত করার ফন্দি আঁটছিলো তখন সৌদি আরবের ওপর শিশু হত্যার তকমা দিয়ে মূল অপরাধীদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখার কসরত চালানো হচ্ছিলো।
সৌদি রাষ্ট্রদূত ইয়ামানে নিরাপত্তা বহাল রাখার জন্য উৎসুক জাতিসঙ্ঘের শান্তিদূত ইসমাঈল আহমাদের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তাকে পরিপূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি জাতিসঙ্ঘের কাছে জোরালো আবেদন জানিয়েছেন বলেন, সৌদি আরবের বিরুদ্ধে করা রিপোর্টটির যেনো সুষ্ঠ তদন্ত হয়।
আব্দুল্লাহ আলমুআম্মালী গোটা ইয়ামান অঞ্চলে সাহায্য-সহযোগিতা কার্যক্রম শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন এবং বলেছেন, ইয়ামানে নতুনভাবে আবাসনপ্রকল্প ও ভবন নির্মানের ধারাপর্বও খুব শিগগির শুরু করা হবে।
সিরিয়ায় চলমান সংকট প্রসঙ্গে আলাপকালে সৌদি রাষ্ট্রদূত সিরিয়ার শিশু ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আসাদ সরকারের নির্মম নিপীড়ন ও অত্যাচারের তীব্র নিন্দা জানান এবং বিশ্বাভ্রাতৃত্ত্বের প্রতি জোড় দিয়ে বলেন, সিরিয়ার সরকার যেনো শিশুদের রক্ষায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়।
তিনি আরও বলেন, সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও তাদের গুপ্ত ঘাতকরা হালাব শহরে মানুষ হত্যার এক মহা উৎসবে মেতে উঠেছে। সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনে বাশার আল-আসাদের সঙ্গে লেবাননের মিলিশিয়া সেনা হিযবুল্লাহ এবং ইরানও জড়িত বলে তিনি জানিয়েছেন।
সূত্র : বাসিরাত অনলাইন