আওয়ার ইসলাম: দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় এ পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পানিতে পড়েই মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। আর পানিবাহিতসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ২২ জন মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য মতে, গত ২৫ জুলাই থেকে বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ শুরু করে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে জামালপুর জেলার ৫৩টি ইউনিয়ন। গত ৩১ জুলাই ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় রোগাক্রান্ত হয়েছেন ২০৩ জন এবং এর আগে ৭ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের।
বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলোতে ডায়রিয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ, বজ্রপাত, সাপের কামড়, পানিতে ডুবে মৃত্যু, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, আঘাত এবং অন্যান্য কিছু প্রাসঙ্গিক অসুস্থতাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, দেশের ১০ জেলায় ৩১ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪৩টি বন্যা কবলিত ইউনিয়নে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৮৪ জন, তবে কারো মৃত্যু হয়নি। শ্বাস-প্রদাহজনিত রোগে (আরটিআই) ৩১৩ জন আক্রান্ত হলেও মৃত্যু হয়নি কারো। তবে এখন পর্যন্ত কেউ বজ্রপাতে আক্রান্ত হননি। সাপের কামড়ে ৬ জন আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পানিতে ডুবে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২ জন। চর্মরোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬২ জন, চোখের প্রদাহে ভুগছেন ১৮৫ জন।
বিভিন্ন ধরনের আঘাতে ২০৭ জন আক্রান্ত হলেও কারো মৃত্যু হয়নি। এছাড়াও অন্যান্য কারণে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৭ জন। তবে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, তত্ত্বাবধায়ক বা পরিচালকদের দেওয়া তথ্য মতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা পাওয়া গেছে।
আক্রান্ত জেলা জামালপুরে ৭টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে এবং ৮১টি মেডিকেল টিম কর্মরত রয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। কুড়িগ্রামের ৫০টি ইউনিয়নে ৩১ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ জন। আর ৭ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ জন।
সিরাজগঞ্জের ৩৬টি ইউনিয়নে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১২৬ জন এবং ৭ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৯ জন। গাইবান্ধায় ৩০টি ইউনিয়নে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ জন এবং ৭ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৫ জন।
বন্যা আক্রান্ত অন্যান্য জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রংপুর, বগুড়া, লালমনিরহাট, নীলফামারী, মানিকগঞ্জ, পঞ্চগড়। এসব জেলায় ডায়রিয়া ও আরটিআই’তে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক। তবে কোনো মৃত্যুর ঘটনা নেই।
আরআর