আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার ঘোষিত ২৯ জুলাই ১৬ শুক্রবার পালিত হয়েছে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ দিবস। এ উপলক্ষে আলোচনাসভা, খতীবদের উদ্দেশে খোলা চিঠি বিতরণ, লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ, মানববন্ধন, দুআ আয়োজনসহ নানারকম কর্মসূচি পালন করা হয়।
শুক্রবার জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরখানে মুফতি ইবরাহীম শিলাস্থানীর নেতৃত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন পরবর্তী আলোচনায় মুফতি শিলাস্থানী বলেন, নবীজী কখনোই ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য হিংসা ও বর্বর পথ অবলম্বন করেননি। মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার মৃধা বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তিই এখন জামাত-শিবিরের নামে সক্রিয়।
মহাখালি আইপিএস মসজিদে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধমূলক দুআ পরবর্তী আলোচনায় মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফী বলেন, জামাত ও নব্য জামাতিদের শিকর উপড়ে ফেলতে হবে। গত আট বছরে সরকারী দলে যোগদানকারী নেতাদের উপর নিবিড় পর্যপেক্ষণ করতে হবে। ইসলামের নামে যারা যত্রতত্র জ্ঞানদান করে বেড়ান তাদের কারণেই জঙ্গিবাদ দিন দিন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
রামপুরা বাইতুল মারুফ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা ইয়াইহয়া মাহমূদ জুমআ পূর্ববর্তী আলোচনায় ইফার খুতবার বিষয়ে ১৯৭৭ এ ব্যর্থ হওয়া জিয়াউর রহমানের উচ্ছ্বিষ্ট কাদের পারপাস সাফ করতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি মুখে তুলে নিচ্ছে তা আমাদের বোধগোম্য নয়। ইসলামী ফাউন্ডেশনে এমন আস্থাভাজন আলেম নেই যার লিখিত খুতবা দেশের খতিবগণ গ্রহণ করবে।
ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি মুফতি তাজুল ইসলাম ও মাওলানা আল আমীনের নেতৃত্বে মানববন্ধন পরবর্তী আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, ময়মনসিংহবাসী জঙ্গিবাদ বিরোধী। আল্লামা মাসঊদের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এ দেশের একলাখ আলেমসহ সবাই সোচ্চার। এ ছাড়াও কদমতলী থানার মাওলানা ইহতেশামুল হকের নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধমূলক গণসংযোগ ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ডেমরা থানায় মুফতি আহমাদুল্লাহর নেতৃত্বে গণসংযোগ ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সৈয়দপুরে মাওলানা হারুন মিয়াজী ও মাওলানা আবুল কালামের নেতৃত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। রংপুরে মাওলানা হোসাইন আহমদের নেতৃত্বে মসজিদভিত্তিক আলোচনাসভা ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়। সিলেটের কানাইঘাটের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মুহাম্মদ বিন ইদরীস লক্ষ্মীপুরী জঙ্গিবাদ প্রতিরোধমূলক জনসংযোগ করেন এবং আলোচনা করেন। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, জামালপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজার, বান্দরবান, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, ভোলাসহ সারাদেশে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
উল্লেখ্য জুমার পর ২ টায় বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ঘোষিত ২৯ জুলাই ১৬ জঙ্গিবাদপ্রতিরোধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে জমিয়ত চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ইসলাম সংখ্যালঘুদের সম্মান করে বলে জমিয়ত সভাপতি বলেন, ইসলামে মূর্তিপুজা নিষিদ্ধ অথচ কুরআনে তাদের দেব-দেবীকে গালি দিতে নিষেধ করা হয়েছে। একজন মুসলমান নিজের প্রাণ বিসর্জনের মাধ্যমেও অমুসলিমদের প্রাণ রক্ষা করবে। কারণ তারা এ দেশের মুসলমানদের কাছে আমানত।
জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী সভাপতিত্ব করেন। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, সার্কিট হাউস মসজিদের খতীব আল্লামা আরীফ উদ্দীন মারুফ, বাইতুল মারুফ রামপুরার খতীব আল্লামা ইয়াহইয়া মাহমূদ, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফী, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, ঢাবি শিক্ষক মাওলানা হোসাইনুল বান্না, মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন প্রমুখ।
আরআর