আওয়ার ইসলাম: কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহতদের পোশাক, কথার ধরন, ব্যবহার্য জিনিসপত্র সবকিছু দেখে তাদেরকে উচ্চ শিক্ষিত ও এলিট শ্রেণির মনে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান নিয়ে বিস্তারিত ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ের কিছুক্ষণ আগে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম জানান, কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে মোট ১১টি গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। তিনি আরো জানান, আস্তানা থেকে ৪ থেকে ৫ কেজি বিস্ফোরক, ৪টি পিস্তল, ২১ রাউন্ড গুলি, ১টি তলোয়ার, ৩টি অটোমেটিক ছুরি, ৭টি ছোট ছুড়ি এবং বেশ কিছু আইএস লেখা কালো কাপড় পাওয়া গেছে।
সোমবার দিবাগত রাত ১টার কিছু পর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর রোডের জাহাজ বিল্ডিং নামের ৫ তলা বাড়িটিতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু করে পুলিশ। অভিযানের সময় পুলিশ তিনতলা পর্যন্ত ওঠার পর পাঁচতলা থেকে দুই যুবক নেমে এসে গুলি চালালে এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে গুলি লাগে। একই সঙ্গে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেলও নিক্ষেপ করে। পুলিশও এ সময় পাল্টা গুলি চালালে হাসান নামে এক জঙ্গি আহত হয়। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রাত প্রায় সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলি বিনিময় চলে। পরে পুরো এলাকাটি ঘিরে রেখে ভোরে সোয়াত, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে।
সকাল ৭টায় ‘স্টর্ম-টোয়েন্টি সিক্স’ নামের এই অভিযান শেষ করে ডিএমপি কমিশনার শেখ মারুফ হাসান জানান, ‘ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে কল্যাণপুরের জাহাজ বিল্ডিং নামের ওই বাড়িটিতে অভিযান শুরু করে সোয়াত, র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের সাথে গোলাগুলিতে ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছে এবং গুলিবিদ্ধ এক জঙ্গিসহ আটক করা হয়েছে দু’জনকে।’
আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকম / এফএফ