ঢাকা : হিজবুল মুজাহিদিনের সংগঠক বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত কাশ্মীর উপত্যকা। আর সেই উত্তাপের মধ্যেই কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা মিরওয়েজ ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২৫ জুলাই এক পদযাত্রার জন্য বাড়ির বাইরে বের হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় একই সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে হুরিয়ত কনফারেন্স চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি শাহ গিলানিকেও।
এদিকে জানা গেছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাশ্মীরের কয়েকজন স্বাধীনতাকামী নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয় বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে আজ সোমবার অনন্তনাগ যাওয়ার ডাক দেন স্বাধীনতাকামী নেতারা। সেখানে একটি সমাবেশে যোগদানের জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানানো হয়।
মিরওয়েজ ওমর ফারুকও সেই সমাবেশে যোগ দিতে বাড়ি থেকে রওনা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার বাড়ির বাইরে আজ সকাল থেকেই মোতায়েন ছিল পুলিশ। তারা প্রথমে এই স্বাধীনতাকামী নেতাকে অনন্তনাগে যেতে নিষেধ করে। তাতে রাজি না হওয়ায় ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে অনন্তনাগে যাওয়ার চেষ্টা করায় গ্রেপ্তার হন সৈয়দ আলি শাহ গিলানিও। তিনি কিছুদিন থেকে গৃহবন্দি রয়েছেন। তারপরও আজ অনন্তনাগে সমাবেশে যোগ দিতে রওনা দেন তিনি। শ্রীনগরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই হিজবুল মুজাহিদিনের সংগঠক বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর। জনতা-নিরাপত্তারক্ষী সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৪৫ জন। আহত দুই শতাধিক। টানা ১৪ দিন ধরে অশান্ত কাশ্মীর। পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েকজন স্বাধীনতাকামী নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।
এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, কাশ্মীরে এ অশান্তির ছড়ানোর পিছনে মদদ রয়েছে পাকিস্তানের। কিন্তু ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে এই দাবি নাকচ করা হয়।
আরআর