আওয়ার ইসলাম ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখে জঙ্গি হিসেবে আটক রুমা আক্তার একজন পেশাদার যৌনকর্মী বলে জানা গেছে। তার কাজের এলাকা ছিলো উত্তর গুলশানের কূটনীতিকপাড়া। বিদেশি নাগরিকদের কাছেই তিনি বেশি যেতেন।
বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ও হিন্দিতে কথা বলতে পারদর্শী এই যৌনকর্মী হলি আর্টিজানে হামলার রাতেও গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কে গিয়েছিলেন। গত তিন-চার মাস ধরেই রাতে তাকে গুলশানের ওই সড়কে দেখা যেত বলে জানা গেছে।
গুলশান হামলার তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই নারীর কাছ থেকে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তার বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়নি।
গত মঙ্গলবার দুপুরে হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় এক তরুণীসহ সন্দেহভাজন চার জঙ্গির ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে তাদের সন্ধান চায় র্যাব। ওই ভিডিওচিত্রের ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘গুলশানের হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন চারজনকে নির্ণয়। তাদের পরিচয় জানা থাকলে দ্রুত র্যাবের যে কোনো নিকটস্থ ব্যাটালিয়ন অথবা ক্যাম্পে অবহিত করুন।’
এর দু’দিন পর গত বৃহস্পতিবার রাতে নরসিংদীর গ্রামের বাড়ি থেকে রুমাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটি)। পরে তাকে ঢাকায় সিটি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকম / এফএফ