উম্মে মাবরুহা : অনেক সময় দেখা যায় চুলে সৌন্দর্য ঠিক থাকছে না কিংবা চুল নির্দিষ্ট পরিমাণে গিয়ে আর বড় হচ্ছে না। এমনটা হতে পারে নিচের আট কারণে। জেনে রাখুন বিষয়গুলো।
একই রকম হেয়ার স্টাইল
আপনি সব সময় চুলে বেনী বা খোঁপা করে থাকেন। এটি চুলের জন্য কখনও ভাল নয়। এটি চুলের গ্রোথ নষ্ট করে দেয়। চুলেরও অক্সিজেনের প্রয়োজন আছে। চুলকে সমসময় বেঁধে রাখলে চুল অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না।
তেল না দেওয়া
আমরা অনেক সময় চুলে তেল ব্যবহার করি না। সপ্তাহে একবার অত্যন্ত চুলে তেল লাগানো উচিত, কারণ তেল চুলের পুষ্টি যোগায়। তেল চুলের খাবার। তেলের অভাবে চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে। যার ফলে চুল মাঝখান থেকে ভাঙ্গতে শুরু করে এবং চুল পড়া বেড়ে যায় অনেকখানি।
পুষ্টিকর খাবারের অভাব
যদি আপনার রোজকার খাবারে ভিটামিন ও প্রোটিনের অভাব থাকে, তবে তার প্রভাব চুলেও পড়তে পারে। একজন মহিলার প্রতিদিন ৪০-৪৫ গ্রাম প্রোটিন এবং ১৫-১৮ মিলিগ্রাম আয়রন খাওয়া উচিত। ক্রাশ ডায়েট আপনার চুল পড়া বৃদ্ধির অন্যতম আরেকটি কারণ।
ময়েশ্চারাইজারের অভাব
চুল সঠিকভাবে ময়েশ্চারাইজ করা না হলে চুল রুক্ষ নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। যার কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করার ফলে চুল থেকে প্রাকৃতিক তৈলাক্ত পদার্থ ধুয়ে যায়, ফলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ এবং প্রাণহীন।
প্রতিদিন নতুন নতুন পণ্যের ব্যবহার
সকল হেয়ার পণ্য আপনার চুলের জন্য প্রযোজ্য না হতে পারে। নতুন পণ্য ব্যবহার করার আগে ভাল করে পণ্যের বিবরণ পড়ে নিন। হুট করে নতুন কোন পণ্য ব্যবহার করা শুরু করবেন না। এতে আপনার চুলের ক্ষতি হতে পারে। ঘন ঘন পণ্য পরিবর্তন চুল লম্বা না হওয়ার অন্যতম আরেকটি কারণ।
নিয়মিত চুল ট্রিম করুন
২-৩ মাস পর পর চুল ট্রিম করা উচিত। চুলের দৈর্ঘ্য কম করতে হবে না, কিন্তু স্প্লিট এন্ড এসে গেলে তা বাড়তে পারে না। ট্রিম করার সময়ে দুমুখো চুল ছেঁটে ফেলা হয় ফলে চুল দ্রুত বাড়তে পারে।
ভুল চিরুনির ব্যবহার
চিকন দাঁতের চিরুণি ব্যবহার করা চুলের পক্ষে ভাল না। কারণ এর ফলে চুলে জট বেঁধে যায় এবং চুল ছিঁড়ে যায়। চুল গোড়া থেকে হালকা হয়ে যায় ফলে সহজে পড়ে যায়।
রাতের যত্ন
চুল খুলে রাতে ঘুমানো উচিত নয়। চুল বেনী করে বা বেঁধে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। না হলে ঘষা লেগে লেগে চুলের ডগা ফেটে যেতে পারে। যা পরবর্তীতে আপনার চুল লম্বা হতে বাধাগ্রস্ত করে থাকে।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর