সাইফুল ইসলাম রিয়াদ, সিলেট থেকে : পূণ্যময় শহর সিলেট। আউলিয়ায়ে কেরামের এ শহরটি মনোরম। চোধ ধাধানো সৌন্দর্যের পসড়া আছে এখানে। মানুষকে আকৃষ্ট করে সহজেই। এখানে এসেছেন শাহ জালাল ও শাহ পরাণসহ অনেক ওলি আউলিয়া। সে জন্যই এ জেলার অনেক গুরুত্ব এ দেশে।
শহরটি হযরত শাহজালালের নাম অনুসারে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এ ক্যাম্পাসে অনেক পুকুর রয়েছে। তবে একটি পুকুর নিয়ে দেখা দিয়েছে গভীর রহস্য। পুকুরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের পাশে। এ পুকুরে ডুবে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রের করুণ মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মাঝে মাঝেই এলাকার কতিপয় শিশুর লাশ ভেসে ওঠে পুকুরে। এপর্যন্ত ৫-৬ শিশুর জীবন কেড়ে নিয়েছে ওই পুকুর।
সর্বশেষ নিলয় মো. আজমের মৃত্যুতে পুকুরকে ঘিরে নানা আতংক ভর করেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। যারা সাঁতার জানেন না তাদের ওই পুকুরে গোসল না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, পুকুরটির পানি কখনই শুকায় না। শীত গ্রীষ্ম ও বর্ষায় একই লেভেলে পানি থাকে ওই পুকুরে। ওই পুকুরের গভীরতা নিয়েও রয়েছে নানা রহস্য। এর গভীরতার কোন ইয়াত্তা নেই। হঠাৎ হঠাৎ বড় বড় গভীর খাদ পুকুরের রহস্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
ওই পুকুরের আরেকটি রহস্য হল এটি সেচ দেয়া প্রায় অসম্ভব। সেচ দেয়া শুরু করলে নিচ থেকে পানি উঠে আবার ভরে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ পর্যন্ত ওই পুকুর সেচ দিতে দেখেননি।
পুকুরের আরেকটি রহস্য হল এতে মাছ চাষও করা হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা ব্যাক্তিগত উদ্যোগে কেউ এ পুকুরে মাছ চাষ করতে আগ্রহ দেখায় না।
সবচেয়ে মজার ব্যপার হল ওই পুকুরের নির্দিষ্ট কোন পাড় নেই। পাড় না থাকায় দিন দিন পুকুরের আকারও বাড়ছে।
শাবির ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, পুকুরটিকে সেচ দেয়া প্রায় অসম্ভব। ছাত্রের মৃত্যুর পর পুকুরটির বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে ভিসি প্রফেসর ড. আমিনুল হক ভূইয়াকে অবহিত করা হয়েছে।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম / আরআর