সুলাইমান সাদী, বিভাগীয় সম্পাদক সাহিত্য : কবিতা সত্যি কিছু বুঝতে শেখায় না।অনুভব করতে শেখায়। কবিতা উপভোগ করায় মহাভ্রমনের ব্যাকুল অভিসার। কবিতা পাঠককে বুদ্ধিজীবি বানায় না। বুদ্ধিজীবিকে চিন্তার খোরাক যোগায়। পৃথিবীজোড়া কবিদের তাই চলছে এখন নবান্নকাল। একসময় তত্ত্ব কবিতাকে শাসন করত। আধুনিকোত্তর তাত্ত্বিকরা তত্ত্বকে কবিতার অনুগামি বানাতে বাধ্য হয়েছেন। কবিতা থেকে তত্ত্ব খুঁড়ে বের করার পথ দেখিয়েছেন। এর কৃতিত্ব তাদেরই বটে। মূলত তাদের তত্ত্বগত বস্তুনিষ্ঠতার প্রমাণ এ স্বীকৃতি। পাথরকে জীবনধারনের হাতিয়াররুপে হাজির করেছিলেন যে আদিমানব তিনিই পৃথিবীর প্রথম শিল্পী। বস্তুর প্রাকৃতিক রুপ পরিবর্তন করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় শিল্পের অভিযাত্রা। শুরু বস্তু ও প্রকৃতির বিমূর্তায়ন। মন ও মননের মূর্তায়ন। জীবনের তাগিদে জগতের কাছে আসা। নিজেকে মেলে ধরা। এবং জগতের একেকটা কোষ ও প্রত্যঙ্গ খুলেমুলে পর্যবেক্ষন করা।জগতের সঙ্গে জীবনের এই অতিমানবিক সম্পর্কের স্বরুপ উদ্ঘাটনে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রাণী মানুষের মনে জাগে নকল বা অনুকৃতির বাসনা। আর সেখান থেকেই সৃষ্টি ও শিল্পের আরাধনা।
সেই থেকে শুরু। ঘটনা ও দুর্ঘটনার পরস্পরা। অগোছালো পৃথিবীকে মানুষ রেখা ও শব্দে গুছিয়ে তোলে। বিস্তার ঘটে মৌল বৈশিষ্ট্যের। এবং. . . তারপর. . .ভাষা। তারপর. . .কবিতা। কবিতার বয়স কত হবে? পৃথিবীর অর্ধেক? তারও বেশি? লম্বা ইতিহাসে কবিতার দেহমনে ঘটেছে বিপুল পরিবর্তন। চেতনায় অসংখ্য বাঁকবদল। কবিতার দেহমনে সৃষ্টি হয়েছে অনেক ব্যাধি। কবিরা চিকিত্সা দিয়েছেন যে যার মতো। এভাবেই কবিতাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য তত্ত্ব ও মতবাদ। কবিতাভিত্তিক মতবাদগুলো গলা মিলিয়েছে জীবনভিত্তিক অন্যান্য মতবাদে গলায়।এদের গলায়-গলায় ভাবদর্শন বারবার কবিতাকে করেছে ধর্ষন। কবিতা হয়ে উঠেছে অরক্ষিত হেরেমের নর্তকি। যে যার মতো নাচিয়েছে। কাছিয়েছে। কবিরাই নর্তকিটির একনিষ্ঠ প্রেমিক। যুগে যুগে তারা কবিতার দেহমনে পরিয়েছে সুশোভিত ভূষণ। অবশ্য দর্শনজন্মা কামুক কবিরা কখনো কখনো উপর্যুপরি ধর্ষনে কবিতাকে করেছে নাজেহাল। তাই আমি বলি- দর্শন ও ধর্ষন সমার্থবোধক। দুই জারজ সহোদর।
একথা মানতেই হবে – ধর্ষক ছাড়া পৃথিবী কাঙাল। দর্শক ছাড়া যেমন পৃথিবী অন্ধকার। ধর্ষন নারীর একটি আলাদা ভূষণ। দর্শনও ঠিক কবিতার পৃথক পোশাক। দর্শন কবিতাকে বা কবিতা দর্শনকে এমনভাবে আত্মীকৃত করেছে, কবিতাকে দর্শনের খপ্পর থেকে বাঁচাতে রচতে হচ্ছে আরেক দর্শন। তাই হেরেমের বন্দিনী রুপসি কবিতার জন্য মাঠে নামল-- ক্লাসিসিজমের বিপরীতে রোমান্টিসিজম। রোমান্টিসিজমের বিপরীতে মডার্নিজম। আর মডর্নিজমের বিপরীতে নবাগতা পোস্টমডার্নিজম। প্রতিটি মতবাদই পূর্ববর্তী মতবাদ থেকে কবিতাকে মুক্তি দিতে খুলে দিয়েছে চিন্তার বিস্তৃত রাজ্য। তত্ত্ববাদীদের চিন্তার দৌড় যত বেড়েছে, কবিতার ক্ষমতার উড়াল বেড়েছে তার চেয়েও বেশি। তবে বলার বিষয়, কবিরা কতটা ডানা ঝাপটাতে পেরেছেন কবিতার উড়ালের সঙ্গে।
বৌদ্ধিক সূত্রের সাহায্যে চিন্তাগুলো সাজিয়ে তত্ত্বের অবতারনা করতে হয়। কবিতার এ বাধ্যবাধকতা নেই। কবিতা চলে তার নিজ গতিতে। তত্ত্ব যুক্তির সঙ্গে যুক্তি জুড়িয়ে চিন্তার বিস্তার ঘটায়। যুক্তির থলে খালি হয়ে গেলে তত্ত্ব বসে পড়ে। কিন্তু কবিতার আছে বাড়তি রসদ-- কল্পনা, প্রতিভা ও সংশোধিত সংবেদ। তাই কবিতার ভ্রমন নিরন্তর। কবিতা তত্ত্বকে সঙ্গে নিয়ে সফর শুরু করে। তত্ত্ব বসে পড়ে। কবিতা বসতে পারে না। তার যাত্রা হয়ে ওঠে আরও স্বাধীন। আরও সঙ্গীতময়। কবিকে তাই একলা চলার পথ চেনা থাকতে হয়। শুধু তত্ত্বের নির্দেশনায় তার পথ চলতে নেই। নিজের পথ নিজে তৈরি করে নেওয়ার প্রতিভাটুকুও থাকা লাগে। কবির এই সৃষ্টিশীল প্রতিভাই বলে দেবে তার কবিতার পথ কতটা দীর্ঘ, গন্তব্য কতটা দূর।
ভাষা কবিতার দেহ। ছন্দ হৃদস্পন্দন। অলঙ্কার ভূষণ। এসবের ভেতরে আত্মা। আত্মার তালাশে হাতরাতে হয় আকাশ-পাতাল। কবিতার ভাষার ব্যাপারে শুচিবায়ু জন্ম নিয়েছে। দূরও হয়ে গেছে। এখন কবিতার ভাষার মুক্ত ও স্বাধীন হয়ে যাওয়ার কথা। কবিতার ভাষার কাঠামো-উত্তরকাঠামো, নির্মাণ-বিনির্মাণ ইত্যাদি প্যাঁচালের একটা সুরাহা হওয়া উচিৎ। তবে তার অর্থ এই নয়, ভাষাতাত্ত্বিক সব চিন্তা ও সিদ্ধান্ত ঝুড়িতে ফেলতে হবে। ভাষাতত্ত্ব স্বাধীন ভাষার দার্শনিক বয়ান। ভাষার উন্নতিতে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য নয়। কিন্তু তত্ত্ব দিয়ে কবিতার ভাষা শাসন করা যায় না। কবির রুচিবৈচিত্র্য শাসন করবে তার কবিতাভাষার বিচিত্রতা।
দৃষ্টির নবায়ন কবিকে সমৃদ্ধ করে। বিখণ্ডিত দৃষ্টিভঙ্গি কবিতায় আনে নতুন বাঁক। তাই কবিতার প্রতিটি প্রত্রঙ্গ দেখতে হয় ভিন্ন ভিন্ন চোখে। ছন্দ কবিতার একটি ঐশ্বর্যময় অঙ্গ। ছন্দ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার অন্ত নেই। প্রকরন, বিবর্তন ও অতিক্রমণের পথ ধরে ছন্দ ভাঙা বা গদ্যে লেখার অর্থ এই নয় যে, ছন্দ পরিত্যক্ত। অলঙ্কারের বহুমাত্রিক ব্যবহরও বাতিল হওয়ার নয়। ছন্দ অলঙ্কার ভাষার একটি স্বভাবজাত গুণ। ভাষা থেকে এগুলো যত ছাটাই করা হবে তত জেঁকে বসবে আগাছার মতো। আমরা ছান্দিক ছিলাম, ছন্দহীন হয়ে উঠলাম- এই নড়ে ওঠাই একটা ছন্দ। অলঙ্কার পরতাম, নগ্ন বুক দেখাতে লাগলাম- এটাও একটা অলঙ্কার।এ সবই আমাদের স্বভাব ও রুচির প্রতিনিধিত্ব করে। কবিতা অনেক রকম। তার মানে একজন কবি অনেকরকম কবিতা লিখবেন। ছন্দে। গদ্যে। অলঙ্কারে। কবিতার সবরকম প্রকরণ, শৈলী ও তাত্ত্বিক মতবাদ মেনে- উপেক্ষা করে। লক্ষ্য কবিতার সেই গন্তব্য খুঁজে পাওয়া যার সন্ধান কেউ জানে না।
কবিতার ভাষার কাঠামো-উত্তরকাঠামো, নির্মাণ-বিনির্মাণ ইত্যাদি প্যাঁচালের একটা সুরাহা হওয়া উচিৎ। তবে তার অর্থ এই নয়, ভাষাতাত্ত্বিক সব চিন্তা ও সিদ্ধান্ত ঝুড়িতে ফেলতে হবে। ভাষাতত্ত্ব স্বাধীন ভাষার দার্শনিক বয়ান। ভাষার উন্নতিতে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য নয়। কিন্তু তত্ত্ব দিয়ে কবিতার ভাষা শাসন করা যায় না। কবির রুচিবৈচিত্র্য শাসন করবে তার কবিতাভাষার বিচিত্রতা।
বাংলাভাষায় চর্বিত সব ইজম ও মতবাদই ফিরিঙ্গি। আজও গড়ে ওঠেনি আমাদের কোনও নিজস্ব তত্ত্ব। বাঙালি জাতীয়তাবাদের যখন জয়জয়কার ছিল তখনও না। বিশ্বায়নের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই বর্তমানেও না। বিদেশি ইজমগুলোও চর্চা করা হয়নি বাঙালি মূল্যবোধের মাহাত্ম্য প্রকাশে। শূন্যতা এখানেই। ইজম চর্চার উদ্দেশ্য ইজম উগড়ানো নয়। নিজস্ব একটি ইজমের পথসন্ধান করা। আমরা ইজম ইজম করছি। কিন্তু নিজেদের ইজমটা কী হবে সে টেনশন থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টাটা ছাড়ছি না। আমি মনে করি, বাংলা কবিতার ভবিষ্যৎ ফিরিঙ্গি ইজমগুলো থেকে বের হয়ে এস নিজেদের একটা সতন্ত্র ইজম দাঁড় করানো। এছাড়া বাংলা কবিতার কোনও ভবিষ্যৎ চোখে পড়ছে না।
তবে ইজম সৃষ্টির আগে জরুরি কবিতা সৃষ্টি। কবিতা কিভাবে কবিতা হয়ে উঠবে সেই চেষ্টাটা মুখ্য। ভাষা, প্রকরন, শৈলী বা বিষয়ের চারিত্র্য যাই হোক, সমকালীন ও গতিময় একটি কবিতারুচি থাকতেই হয়।রুচিগুণে একটি একরৈখিক কবিতা হয়ে উঠতে পারে বহুরৈখিক তৃপ্তির আধার। নিছক জীবনমুখি একটি কবিতা হয়ে উঠতে পারে কলাকৈবল্যময়। একটি ব্যক্তিগত কবিতা হয়ে উঠতে পারে নৈর্ব্যক্তিক। এবং একটি বস্তুবাদী কবিতা হয়ে উঠতে পারে বস্তুনিরপেক্ষ। এইযে একের ভেতর আরেককে পাবার অনুসন্ধিৎসা এর মাধ্যমে রচিত হয় কবিতার দূরগামি পথ। আজবধি কবিতার যত শিল্পপ্রবণতা সবের কেন্দ্রবিন্দু কবিতাই। কবিতাকে ভেতরে রেখেই সাজাতে হয়। তুলে দিতে হয় বরযাত্রাযানে। এইযে বারবার কবিতাকে রমণীর রুপে দেখে ওঠা এটা আসলে হেলেন থেকে বনলতা সেন সবারই শাশ্বত স্বরুপ। হেলেনের প্রতীকে দেখি ধ্রুপদি সুন্দরের মুখ। আবার একই হেলেন বনলতারুপে ফিরে আসে আধুনিক বিচ্ছিন্নতাবোধের প্রতিষেধক হয়ে। সুন্দরের সেই একই প্রতিমা হালের নামহীন বালিকা হয়ে কবিতা পাঠ করে আশ্রমে বসে। তাই বালিকার তীর্থ হয়ে ওঠে ‘বালিকাআশ্রম‘। তাই কেউ কেউ বলতে লেগে যান- পৃথিবীর সমস্ত কবিরা অবিরাম লিখে চলেছেন একটিমাত্র কবিতা। অপরদিকে কাঠামোবাদী ভাষাতত্ত্ব আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে ভাষার অসীম আধারের খবর। পাঠক তখন গৌণ হয়ে পড়ে পাঠের সামনে। একটা পাঠ মন ঘুরে হয়ে পড়ে অন্যপাঠ। সমস্ত পাঠক পরস্পরে শেয়ার করে পাঠটাকে করে তুলতে পারেন অনন্যতম। এ বিনির্মাণবাদী ভাষাতত্ত্বের বক্তব্যঅনুসারে সমস্ত কবিতা একটিমাত্র পাঠ আর একেকজন পাঠক একেকটি কবিতা। তাই যদি হয় তাহলে কাল পেরুতেই কেন ভাষা বদলে যায়। রবীন্দ্রণাথকে প্রত্যাক্ষান করেন জীবনানন্দ। জীবনানন্দকে অতিক্রম করতে ব্যতিব্যস্ত কেন পরবর্তীরা?
তাত্ত্বিকরা যা বলবেন তাই তত্ত্ব নয়। তত্ত্ব নিয়ে আমরা নাতাত্ত্বকরা যা বলি তারও একটা ক্ষমতা আছে। এক্ষমতাবলই প্রকৃত কবিদের পথ চলতে সাহায্য করে। প্রকৃত কবিরা রচনা করেন নতুন কবিতা। ভবিষ্যতের বাণী। কবিরা দেখেন তবে দার্শনিক নন। দার্শনিকরা যা দেখেন তার অধিকাংশের উপর সিদ্ধান্ত আরোপ করেন। আর কবিরা যা দেখেন তার ভেতরের অবস্তুক জগতকেও উন্মোচন করেন। তাই চেনাজানা বস্তু প্রকাশ করতে আমাদের ব্যবহারিক ভাষাই যথেষ্ট। তবে তার অবস্তুক জগৎকে প্রকাশ করতে তৈরি করে নিতে হয় একটি সতন্ত্র ভাষা ও ভাষাভঙ্গি। তাই কবিরা যত দেখেন তত তাদের ভাষা তৈরি হয়।নতুন ভাষার জন্য সৃষ্টি করেন নতুন ব্যাকরণ। প্রকরণে আসে বাঁকবদল। তার ওপর একেক কবির দৃষ্টির মাত্রা, সীমা ও প্রকৃতি একেকরকম। একটি বস্তু একেক কবি দেখেন একেকভাবে। বস্তুর বাইরের পৃথিবীটাকেও দেখেন ভিন্ন ভিন্ন স্বরুপে। কবিরা এ দেখাকে যখন অনুভবে সংক্রমিত করেন তখন সেটা তার সত্তার আমসত্তে পরিণত হয়। তাই কবিদের সত্তাগত বৈচিত্র্যও তাদের কবিতায় আনে বিস্তর ফারাক। কবির শক্তি ও ক্ষমতাও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। যার দৃষ্টি ও অনুভবশক্তি যত তীব্র ও উর্বর তার কবিতা তত নবান্ন নামাবে। এটা প্রকৃত-- শীরোধার্য সত্য।
এসত্য প্রতিষ্ঠিত করতে আরও কিছু উপদেশ লাগে। যদিও উপদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা ভাষা। সস্তা বলে জল ও হাওয়ার আমদানি বন্ধ করার আবেদন করছি না আমরা খোদার কাছে। যেটা করছি, সস্তা উপদেশটা কী- তার জন্য অপেক্ষা। ভাষার রুপে যেমন চেঞ্জ আসে, উপদেশের স্বরুপেও তা আসতে পারে। সো আমার প্রস্তাবিত উপদেশের বিভৎসতা হলো এই যে, আমরা যে দুটি মতবাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি তা হলো আধুনিকতাবাদ ও উত্তরাধুনিকতাবাদ। মতবাদ দুটি কারও পিতামাতার দখল করা জমি নয়। কেউ বলল, এইটাই আধুনিকতা তাহলে এইটাই আধুনিকতা নয়। আধুনিকতার আরও সংজ্ঞা আছে। যে সংজ্ঞাগুলো কবিরা অবিরাম নির্মাণ করে যান। কিংবা দশজনের আবিস্কার করা দশটা প্রবণতাই প্রত্যেক কবির কবিতায় থাকতে হবে এমনটি নয়। প্রতিশ্রুতিশীল কবিমাত্রই অন্যের কিছু প্রতীতি গ্রহন করেন এই শর্তে, আরও কিছু প্রতীতি তিনি তার কবিতায় প্রচার করবেন। সে অর্থে কবিরা যাজক—প্রচারক।
অনেকে টেনশনে আছি। কেমন হবে আমাদের কবিতার ভবিষ্যৎ বা ভবিষ্যতের কবিতা। অথবা আমাদের ভেতর থেকে পরামর্শ জেগে ওঠে, এমন হওয়া উচিৎ আমাদের ভবিষ্যতের কবিতা বা কবিতার ভবিষ্যৎ। এধরণের সংবেদনশীলতার একটি মূল্য আছে যদি সেটা স্বভাবজাত তাড়না থেকে হয়। সমকালে দাঁড়িয়ে অসম ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি দিতে পারলে ভবিষ্যতের কবিতা হয়ে ওঠে। এমন কবিতা লিখতে পারেন খুব কম কবি। যারা পারেন তারা ট্রামের নিচে ঘুমান। আর তাদের কবিতা রুপসি বাংলার চাঁদ হয়ে জেগে ওঠে জংধরা ট্র্যাংকের অন্ধকার থেকে। সুতরাং এমন কবিতা যারা লিখতে পারেন তারাই কবিতার ভবিষ্যৎ। আর তাদের কবিতা ভবিষ্যতের কবিতা।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম / এআর