প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন কোনোভাবে জনগণের জন্য গ্রহণ করার মতো নয়, শাসকদল তাদের স্বার্থে ও প্রয়োজনে এ শিক্ষা আইন প্রণয়ন করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক।
তিনি আরো বলেন, সরকার মতামত চাইছে ঠিক কিন্তু আমার আপনার কোনো মতামত গ্রহণ করবে না। সিভিল সোসাইটির লোকজনদের নিয়ে এ আইন করা হছে। অগণতান্ত্রিক সরকার অগণতান্ত্রিকভাবেই এ আইন প্রণয়ন করছে।
শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে “প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬: বাণিজ্যিকীকরণ-বেসরকারিকরণ ও বহুধারার শিক্ষা ব্যবস্থাকে বৈধতার আইন” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বলেন, শিক্ষা আইনে একদিকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে ‘আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক’ শিক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে। অন্যদিকে আবার ব্যক্তি উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি দেয়ার বিধানও রেখেছে। যা সংবিধান প্রতিশ্রুত শিক্ষার সার্বজনীন অধিকারের পরিপন্থী। স্বঘোষিত সংবিধান রক্ষাকারী সরকার এভাবে নিজেই সংবিধান লঙ্ঘন করছে।