আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিশরের নীল নদের মানুষ-খেকো তিনটি কুমির পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার জলাশয়ে।
কুমিরের ডিএনএ পরীক্ষায় এটা নিশ্চিত হয়েছে।
এসব কুমির অ্যামেরিকার স্থানীয় কুমিরগুলোর মতো নয়। এগুলো আফ্রিকান কুমির এবং মাছ, পাখি, পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকলেও এদের প্রধান শিকার মূলত মানুষ।
আফ্রিকায় সাহারা মরুভূমির আশেপাশের দেশগুলোতে এসব কুমিরের হাতে প্রতিবছর দু’শোর মতো মানুষের মৃত্যু হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অ্যামেরিকায় এখন এই কুমির প্রচুর পরিমাণে ছড়িয়ে পড়েছে।
মিশর থেকে এই কুমিরগুলো কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পৌঁছেছে সেটা নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
আফ্রিকা থেকে এসব কুমির সাতার কেটে অ্যামেরিকায় আসেনি, বলছিলেন ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ কেনেথ ক্রিস্কো।
তিনি বলেন, একটা উপায় হতে পারে যে কেউ একজন হয়তো অবৈধভাবে এসব কুমির আফ্রিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়েছিলো। এবং পরে সেগুলোকে আর নিরাপদ জায়গায় আটকে রাখতে পারেনি। অথবা কেউ হয়তো উদ্দেশ্যমূলকভাবেই ছেড়ে দিয়েছে।
এসব কুমির পাওয়া গিয়েছিলো ২০০৯, ২০১১ এবং ২০১৪ সালে। কিন্তু সম্প্রতি ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে যে এগুলো নীল নদের কুমির।
এসব কুমির ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এসব কুমির ছড়িয়ে পড়লে অ্যামেরিকার পরিবেশের ওপর হুমকির সৃষ্টি হতে পারে।