শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


আলেম-উলামা ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতি বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানের বিশেষ আহ্বান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বেফাকের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও হাইয়াতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আজ সোমবার আলেম উলামা মাদরাসার ছাত্রদের প্রতি বিশেষ এক আহ্বান জানান।

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড) একটি ঐতিহ্যবাহী অরাজনৈতিক জাতীয় কওমি শিক্ষাবোর্ড। এটি আকাবিরীনের রেখে যাওয়া আমানত। যা উপমহাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ দারুল উলূম দেওবন্দ প্রণীত উসুলে হাশতেগানার অনুসরণে পরিচালিত। আকাবিরীনের রেখে যাওয়া এই আমানতের সুসংরক্ষণ ও পরিচালনার জন্য রয়েছে একটি গঠনতন্ত্র এবং গঠনতন্ত্রভিত্তিক চারটি কমিটি:
১. মজলিসে উমুমী।
২. মজলিসে শুরা।
৩. মজলিসে আমেলা।
৪. মজলিসে খাছ।
প্রত্যেক কমিটির গঠন পদ্ধতি, দায়-দায়িত্বসহ বিস্তারিত বিষয়সমূহের বর্ণনা গঠনতন্ত্রে বিদ্যমান রয়েছে। যেহেতু বেফাকের সভাপতি পদাধিকার বলে সাংবিধানিকভাবে ‘আল হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশে’র চেয়ারম্যান হন। সেমতে সকলের মুরব্বি শ্রদ্ধাভাজন শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রহ. সাংবিধানিকভাবে উভয় প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও চেয়ারম্যান ছিলেন।

হযরত শাইখুল ইসলামের ইন্তেকালের পর এ দুটি পদ শুণ্য হলে বিগত ৩ অক্টোবর ২০২০ইং শনিবার অনুষ্ঠিত বেফাকের ‘মজলিসে আমেলা’র সভায় আমি বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সাংবিধানিক পদাধিকার বলে ‘আল হাইয়াতুল উলয়া’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। আমার পক্ষ হতে আপনাদের সকলের প্রতি বিশেষ করে মজলিসে আমেলার সম্মানিত সদস্যবৃন্দের প্রতি রইলো আন্তরিক মোবারকবাদ। এ গুরুদায়িত্ব পালনে আমি মহান আল্লাহপাকের সাহায্য প্রার্থনা করছি এবং আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও দোয়ার প্রত্যাশী। ইনশাআল্লাহ আমি আপনাদের দেয়া আমানত রক্ষায় সচেষ্ট থাকবো। সেই সাথে এর উন্নতি ও কল্যাণে মহান আল্লাহর বিধান সমুন্নত রেখে আত্মনিবেদন করবো।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বেফাক ও আল হাইয়াতুল উলয়ার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, শিক্ষা ও তরবিয়তের জন্য সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা। যাতে করে সংশ্লিষ্ট সকলেই সুশৃঙ্খল পরিবেশে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়। শিক্ষা ও তরবিয়তের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার জন্য আসাতেযায়ে কেরাম, তলাবায়ে এজাম ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদর্শ ছাত্র গড়ে তোলা, তাদেরকে একনিষ্ঠভাবে লেখাপড়ায় মেহনতি ও মনোযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আসাতেযায়ে কেরাম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।এবং ছাত্ররাও আসাতেযায়ে কেরামের নেগরানি ও দিকনির্দেশনায় নিজের ইলমি-আমলি সর্বোচ্চ অবস্থান হাসিল করে আলেমে রব্বানী এবং ওয়ারিশে নববীর মর্যাদা লাভ করতে পারে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আসাতেযায়ে কেরাম ও ছাত্রদের সুযোগ-সুবিধার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখলে আল্লাহপাকের দয়ায় শিক্ষা ও তরবিয়তের সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

ইলমে দ্বীন লাভের অবিকল্প উপায় হচ্ছে, সর্বপ্রকার গোনাহ পরিহার, সুন্নতের পাবন্দি, নামাজের ইহতিমাম, দোয়া-দুরুদ এবং পাক-পবিত্র চরিত্র অবলম্বন। যে সব বিষয় লেখা-পড়ার ক্ষেত্রে বাধা ও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে পারে, সে সব বিষয়কে হিম্মতের সাথে পরিহার করে চলা অত্যাবশ্যক।

মনে রাখতে হবে, বেফাক ও আল হাইয়াতুল উলয়া শিক্ষা ও তরবিয়তভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। আসাতেযায়ে কেরাম, তলাবায়ে এজাম ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তবেই কামিয়াবি আসবে এবং আল্লাহপাকের অসীম রহমত অব্যাহত থাকবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ