শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


শেষ রাত দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্দামান নওশাদ: আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো। আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো। (আল কুরআন)। আল্লাহকে ডাকার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যে কোনো সময় আল্লাহকে ডাকা যায়। আল্লাহর কাছে নিজের প্রয়োজন পূরণের জন্য দোয়া করা যায়। দোয়া করা যায় যে কোনো বিষয়ে। হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি আর।লঅহর কাছে দোয়া করে না। আল্লাহ তায়ালা তাঁর উপর রাগান্বিত হোন। এজন্য বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দোয়া করা। মানুষের যে কোনো প্রয়োজন পূরণে রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়ার বিকল্প কিছু নেই।

এই দোয়া কবুলের জন্য অনেক সময়ের মাঝে তাহাজ্জুদের সময়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাহাজ্জুদ নামাজকে ‘সালাতুল লাইল’ বা ‘কিয়ামুল লাইল’ নামাজও বলা হয়।

তাহাজ্জুদ নামাজ নবীজি (সা.) নিয়মিত পড়তেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় নবী সা. কে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আর রাত্রির কিছু অংশ তাহাজ্জুদ কায়েম করবে, ইহা তোমার এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে (মাকামে মাহমুদে)।’ (বনি ইসরাইল, আয়াত: ৭৯)।

তাহাজ্জুদ নামাজের আগে ও পরে কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করা খুবই ফজিলতের বিষয়।এ সময় সুরা মুজাম্মিল, সুরা মুদ্দাচ্ছির, সুরা মুলক, সুরা ওয়াকিআহ, সুরা দুখান, সুরা আর রহমান, সুরা ইয়াসিন, সুরা হাশর ও সুরা কাহাফ এবং অন্যান্য সুরা তিলাওয়াত করা অত্যন্ত বরকতময় ও ফলদায়ক।

এটি দোয়া কবুলের সর্বশ্রেষ্ঠ সময়। প্রতি রাতে এ সময় আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং বান্দার ফরিয়াদ শোনেন। মধ্যরাতের পরে বা রাতের দুই-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলে তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। সেই হিসেবে রাত দুইটার পর থেকে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত আরম্ভ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত। সাহরির সময় শেষ হলে তথা ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলে তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত শেষ হয়।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ