বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫


স্বামী-স্ত্রীর যে কাজে সন্তান হয় নেককার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মহান আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক পুরুষের জন্য স্ত্রী হিসেবে নারী জাতিকে মনোনিত করে রেখেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে পুরুষ সম্প্রদায়! আমি তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের হালাল করে দিয়েছি। যাতে করে তোমরা শয়তানের ধোঁকায় পরে বিপথগামী না হও।’ (আল কুরআন)

স্বামী-স্ত্রী সহবাসের জন্য দোয়া ও কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। রয়েছে সহবাসের কিছু নিষিদ্ধ সময়। এসব নিয়ম পালন করে সহবাস করলে আল্লাহ তায়ালা নেক সন্তান দান করেন।

সহবাসের দোয়া : ‘বিসমিল্লাহি জান্নিবিনা শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বানা মা রাজাকতানা’ অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমাকে শয়তান হতে বাঁচান ও আমার জন্য যা হালাল করে ছেন তা হতে শয়তানকে বিতারিত করেন।

সহবাসের নিষিদ্ধ সময় :
(১) রোগাবস্থায় সহবাস না করা। কেননা এতে তার রোগ আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। (২) হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই রোগ হতে পারে। (৪) ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস না করা ভালো। (৫) অন্ধকার ঘরে ক্ষুদ্র বা নোংড়া জায়গায় স্ত্রী সহবাস করা ভালো নয়। (৬) খুব ভীষণ ক্ষুধার সময় স্ত্রী সহবাস না করা ভালো।

স্বামী-স্ত্রী সহবাস করার কিছু নিয়ম-কানুন:
(১) রাত্রি দ্বি-প্রহরের সময় সহবাস করা উত্তম। তবে দিনে রাতে যে কোনো সময় স্ত্রী সহবাস করা যাবে। (২) ফলবান গাছের নিচে সহবাস না করা। (৩) সহবাসের প্রথমে দোয়া পড়া। (৪) বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা। (৫) চন্দ্র মাসের প্রথম ও পনের তারিখ রাতে সহবাস না করা। (৬) স্ত্রীর জরায়ুর দিকে চেয়ে সহবাস না করা। তবে তাকালে কোনো গুনাহ হবে না। (৭) সহবাসের সময় বেশি কথা না বলা। (৮) নাপাক শরীরে সহবাস না করা। (৯) উলুঙ্গ হয়ে কাপড় ছাড়া অবস্থায় সহবাস না করা। (১০) স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস না করা। (১১) পূর্ব-পশ্চিম দিকে শুয়ে সহবাস না করা।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ