শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


সবার আগে এই কিট বিশ্ববাসীর সামনে আনার সুযোগ ছিল: ড. বিজন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিশ্বের মধ্যে সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্তের কিট উদ্ভাবন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিন্তু সেই কিট এখনো বাজারে আনা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি জি র‍্যাপিড ডট ব্লট কিট উৎপাদনের গবেষক দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেছেন, সবার আগে এই কিট বিশ্ববাসীর সামনে আনার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের।

বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিশ্বের মধ্যে সর্বপ্রথম করোনা শনাক্তের কিট উদ্ভাবনের ঘোষণা আমরা দিয়েছি। এমনকি ইউরোপ-আমেরিকা আমাদের অনুসরণ করেছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, সেনেগালসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ আমাদের পরে শুরু করে কিট তৈরি করে ফেলেছে।

‘এর মধ্যে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি কিটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি ইতোমধ্যে বাজারেও চলে এসেছে। কিন্তু সবার আগে কিট উদ্ভাবনের ঘোষণা এবং উৎপাদন করলেও আমরা এখনো বাজারে আনতে পারিনি। সবার আগে এই কিট বিশ্ববাসীর সামনে আনার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের’।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন বিএসএমএমইউতে কিটের ট্রায়াল চলছে। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ ট্রায়ালের রিপোর্ট দেবে। তাদের হয়ত একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হয়, তাই সময় বেশি লাগছে।

বিএসএমইউর ট্রায়ালেও ভালো রেজাল্ট আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, ট্রায়ালের জন্য প্রথমে ২০০ অ্যান্টিবডি এবং পরে ২০০ অ্যান্টিজেন কিট দিয়েছি। আরো ৬০০ কিট প্রস্তুত রাখা আছে। বিএসএমইউতে জায়গা ও সংরক্ষণের স্বল্পতার কারণে সব একবারে দেয়া যাচ্ছে না। ঈদের ছুটির মধ্যেও তারা এই কিট পরীক্ষা অব্যাহত রাখবেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই বিজ্ঞানী বলেন, এই কিট নিয়ে প্রথমে আমরা নিজেরা পরীক্ষা করে দেখেছি। সেই পরীক্ষায় আমাদের উদ্ভাবিত কিট প্রায় শতভাগ সফল। মাত্র তিন থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যায়। কারণ এটির মাধ্যমে একইসঙ্গে অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিজেন দুটি পরীক্ষাই করা যায়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ