বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


ফিলিস্তিনের আন নাকবা (বিপর্যয়) দিবস কি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বেলায়েত হুসাইন।।

প্রতি বছর ১৫ই মের দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা আন-নাকবা দিবস বা বিপর্যয়ের দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। ১৯৪৮ সালের এই দিন থেকে ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়তে শুরু করে। ১৯৪৮ সালের ১৫ই মে শুরু হওয়া আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ থেকেই নাকবা দিবসের উৎপত্তি। ঠিক তার একদিন আগে, ১৪ই মে ইসরায়েল নিজেদের ঘোষণা করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে।

সেসময় ওই এলাকা ছিল ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে। ম্যান্ডেট প্যালেস্টাইন নামে তখন সেখানে এক বিশেষ ব্যবস্থা চালু ছিলো। সেটি যখন প্রায় শেষ হওয়ার পথে তখনই ইসরায়েলকে ঘোষণা করা হয় স্বাধীন একটি রাষ্ট্র হিসেবে।

যে এলাকায় ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী সেখান থেকে বেশিরভাগ আরবকে বহিষ্কার করে, কিংবা তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

১৯৪৮-১৯৪৯ এই দু'বছরের আরব- ইসরায়েল যুদ্ধের সময় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে। পরে ১৯৬৭ সালের জুন মাসে আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে আবারও যুদ্ধ হয় এবং সেসময় জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখণ্ড থেকে আরো হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে।

বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ ফিলিস্তিনি জাতিসংঘে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত। তাদের বেশিরভাগই বাস করে জর্ডান, গাজা ভূখণ্ড পশ্চিম তীর, সিরিয়া, লেবানন এবং পূর্ব জেরুসালেমে।

প্রতিবছরই ফিলিস্তিনিরা এই নাকবা দিবসে প্রতিবাদ বিক্ষোভের আয়োজন করে। দিবসটি উপলক্ষে তারা জড়ো হয় ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে। এবং দিনটিকে ঘিরে ইসরায়েলের সাথে ফিলিস্তিনিদের তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। নাকবা দিবসকে কেন্দ্র করে দুবার বড়ো ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রধান দাবি- তাদের জমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার। এই দাবির ভিত্তি হচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৪৮ সালে গৃহীত এক প্রস্তাব।

সেখানে বলা হয়েছে, "যেসব শরণার্থী তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে চাইবে এবং প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিতে বসবাস করবে তাদেরকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে।"

ইসরায়েলের বক্তব্য -৫০ লাখ শরণার্থীকে ফিরিয়ে নেওয়া অসম্ভব। কারণ সেরকম কিছু হলে তারাই ৮৫ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে পড়বে এবং ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের সমাপ্তি ঘটবে।

ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি নেতারা উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার পরেই শরণার্থী সঙ্কট সমাধানের ব্যাপারে একমত হয়েছেন- কিন্তু সেই শান্তি আলোচনাই এখন অসম্ভব এক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র: ইন্টারনেট

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ